মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাটি একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা। এই উপজেলাটি চারিদিক নদী বেষ্টিত। ভৌগলিক কারণেই এখানে জোয়ারের পানিতে ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এখানকার চাষী। যেকারণে চাষীরা তাদের উৎপাদন খরচের একটা বড় অংশ ব্যয় করে ঐসব দুর্যোগ মোকাবেলার। ফলে তারা লাভের জন্য অনেকাংশে প্রকৃতির উপর নিরভরশীল। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় গত মৌসুমে রবি চাষিরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের সে ক্ষতি অনেকাংশে লাগব হয়েছে সয়াবিন চাষের মধ্যে। এমনই এক চাষী ইউসুফ মোল্লা। তিনি ৫০ শতক জমিতে সয়াবিন চাষ করেছিলেন। এতে তার খরচ হয়েছে ছয় হাজার টাকা। উৎপাদন হয়েছে ১৬ মণ সয়াবিন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৯ হাজার ২০০ টাকা। অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে তার চাষ করে খরচ বাদে লাভ হয়েছে ১৩ হাজার ২০০  টাকা। ভবিষ্যতে তিনি সয়াবিন চাষের জমির পরিমাণ বাড়াবেন। অন্য এক চাষী মকবুল মিয়া বলেন, সয়াবিন চাষ বেশ লাভজনক। বিঘা প্রতি খরচ পড়ে ৩-৪ হাজার টাকা। অথচ ফসলের মান ভাল হলে বিঘা প্রতি ৬ মণ সয়াবিন উৎপাদন করা সম্ভব। যার মূল্য দাড়ায় ১১-১৪ হাজার টাকা। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়িরা মেহেন্দিগঞ্জে এসে সয়াবিন কিনে নিয়ে যান। ফলে অনেক চাষীই এখন সয়াবিন চাষে আগ্রহী হচ্ছে। মেহেন্দিগঞ্জের ন্যায় সারা দেশে সয়াবিনের চাষ বাড়ানো গেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব। সয়াবিন তরকারী ছাড়াও দুধ ও বিস্কুট তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। এটা  অত্যান্ত লাভজনক ফসল
                                                 
                                            
উত্তর সমূহ